শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা যেন গরীব মানুষদের চাকরির সুযোগ করে দেয়ঃ ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, মার্চ ৭, ২০২১
  • শেয়ার করুন

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, করোনার কারণে সবাই বন্দি ছিলাম। জিন্দা কবরে ছিল মানুষ। ৬ থেকে ৭ মাস মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। অনেক আপনজন হারিয়েছি। তবে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমরা একটা ভালো অবস্থানে যাবো। ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে গেছে৷

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ইউরোপের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ আপনার কারণে অন্যজন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক ছাড়া বের হবেন না। ভ্যাকসিন নিয়ে সর্তক অবস্থানে থাকবেন। দু’সপ্তাহ ঘরে থাকবেন।

শনিবার (৬ মার্চ) মোস্তফা হাকিম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এইচএম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় ভূমিমন্ত্রী বলেন, এলাকায় আরও অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা যেন এলাকার গরীব মানুষদের চাকরির সুযোগ করে দেয়। ইতোমধ্যে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ হাতে নিয়েছি। আশা করি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে।

এদিকে মোস্তফা হাকিম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এইচএম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের বিষয়ে তিনি বলেন, এইচএম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডে যদি কর্মস্থানের সুযোগ হয় অবশ্যই করবেন। তবে অন্যায় আবদার করা যাবে না। যাতে প্রতিষ্ঠানের কোনো ক্ষতি না হয়। এটা মনজুর আলমের প্রতিষ্ঠান নয়, এটা দেশের সম্পদ। দেশের জিডিপি বাড়াতে এই প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

জাবেদ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সাথে অনেকেই জড়িত। ব্যাংক, এলাকার মানুষ, প্রতিষ্ঠান- সবাই জড়িত। প্রতিষ্ঠান যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাহলে এর সঙ্গে জড়িত সবাই ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, মনজুর সাহেব আমার অত্যন্ত আপনজন। তাকে আমি মুরব্বি হিসেবে দেখি। তিনি একজন দানবীর মানুষ। মোস্তফা-হাকিম গ্রুপের অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান আছে। তারা নিরবে দান করেন। দেশ এবং জাতির কল্যাণে কাজ করেন।

তিনি বলেন, মনজুর সাহেব আমাকে জানালেন- আপনার এলাকায় একটি ইন্ডাস্ট্রি করতে যাবো। আমি বললাম- করেন। আমার সহযোগিতা থাকবে। তিনি সবকিছু সুন্দরভাবে ব্যবস্থা করেছেন। সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করেছেন বলেই আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।

জাবেদ বলেন, কর্ণফুলী উপজেলা চট্টগ্রামের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এখানে অনেক ভারি ও হালকা শিল্প প্রতিষ্ঠান হয়েছে। এ শিল্পায়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। আমি এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইবে অনুরোধ করবো- যেন এলাকার স্থানীয় লোকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমিও ব্যক্তি জীবনে একজন ব্যবসায়ী। আমারও ইন্ডাস্ট্রি আছে। যদিও মনজুর সাহেবের মতো এতো বেশি ইন্ডাস্ট্রির মালিক আমি না। হতেও পারবো না। মনজুর আলমের সঙ্গে তুলনা করলে আমি কুটির শিল্প ক্যাটাগরির লোক, আর মনজুর সাহেব হলেন ভারি শিল্পের লোক।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠান যদি ভালো করে, তাহলে এলাকাবাসীও লাভবান হবে। মনজুর সাহেব খুব ভালো মানুষ। মানুষের প্রতি তিনি অন্যায় করেন না। তিনি মানুষের মধ্যে থেকেই কাজ করেন। খুব দয়ালু মানুষ। দাওয়াত দেওয়ার কারণে এখানে তার গুনগান বলছি না। ওনি আসলেই একজন ভালো মানুষ।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য দিদারুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন না করলে আজ শিল্প কারখানার যে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে, তা হতো না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬০টি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছেন। আপনারা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করবেন। সবার সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো।



সর্বশেষ খবর