কয়েক মাসেই নিয়ন্ত্রণে আসবে করোনা: ডব্লিউএইচও

প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, এপ্রিল ২০, ২০২১
  • শেয়ার করুন

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে অদৃশ্য এই ভাইরাস। কমার পরিবর্তে এর সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে কয়েক মাসের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আসবে করোনা।

এরই মধ্যে বিশ্বে করোনাভাইরাসের টিকার ৭৮০ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ ছাড়া হয়েছে। তারপরও এর প্রবণতা কমেনি।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস বলেন, মহামারি এখনই নিয়ন্ত্রণে আসবে না, করোনাকে ঠেকাতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে।

সঠিকভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য এর সরঞ্জাম সঠিকভাবে বণ্টন সবচেয়ে জরুরি বলে জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান। খবর রয়টার্সের

সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে একসঙ্গে বলেন, ‘আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে আমরা করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। মারণ ব্যাধিকে রুখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামের সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুত আমরা এই বৈশ্বিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় যেভাবে উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’

তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ২৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তিরা যেভাবে করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস বলেন, করোনার কারণে গত নয় মাসে এক মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছেন। চারমাসে ২মিলিয়ন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গত তিনমাসে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৩ মিলিয়নে। এছাড়াও করোনার টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে ধনী দেশগুলির তুলনায় অপেক্ষাকৃতভাবে পিছিয়ে আছে দরিদ্র দেশগুলো।

থুনবার্গ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির প্রতি চার জনের মধ্যে একজন করোনার টিকা নিয়েছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে দরিদ্র দেশগুলোতে প্রতি ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র একজন করোনার ডোজ নিয়েছেন। এছাড়াও করোনা নিয়ে অবহেলা, অসচেতনতা আরও বেশি করে বাড়িয়ে তুলছে এই রোগের প্রার্দুভাব।

এখন সব বয়সী মানুষের শরীরে মিলছে করোনার জীবাণু। ফলে করোনাকে প্রতিহত করতে শুধু একটা ভ্যাক্সিনই যথেষ্ট নয়। মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা চালিয়ে যেতে হবে এখনও অনেক দিন। তাই সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।



সর্বশেষ খবর