একটা ঠিকানা আমি সব মানুষের জন্য করে দেবঃ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:১১ পিএম, জানুয়ারী ২৩, ২০২১
  • শেয়ার করুন

দেশে কোনো লোক গৃহহারা থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুজিববর্ষে আমাদের লক্ষ্য—একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। যতটুকু পারি, হয়তো আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে, তাই হয়তো সীমিত আকারে আমরা করে দিচ্ছি। তাও যাই হোক একটা ঠিকানা আমি সব মানুষের জন্য করে দেব।’

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৪৯২টি উপজেলার ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘরসহ বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে সত্যিই আমার জন্য একটা আনন্দের দিন। কারণ এদেশে যারা সব থেকে বঞ্চিত মানুষ যাদের কোন ঠিকানা ছিল না, ঘরবাড়ি নেই, আজকে তাদেরকে অন্তত একটা ঠিকানা, মাথা গোজার ঠাঁই করে দিতে পারছি। মুজিববর্ষে অনেক কর্মসূচি করতে পারি নাই। এটা সবচেয়ে বড় উৎসব যে গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষকে ঘর দিতে পারলাম এর থেকে বড় উৎসব বাংলাদেশে হতে পারে না। তার কারণ এদেশের মানুষের জন্যই কিন্তু আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। তাদের জীবন যেন উন্নত হয়, বিশ্ব দরবারে আমরা বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে চলতি পারি সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

এসময় বস্তিবাসীদের জন্য ঘরে ফেরা কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্তিবাসীরা নিজ গ্রামে ফিরে গেলে ৬ মাস বিনা পয়সায় খাবার পাবে, বাচ্চাদের স্কুলে দিতে পারবে, বিনা পয়সায় একটা ঘর করে দেব আর সেই সাথে টাকা দেব তারা যেন কাজ কর্ম করে ব্যবসা বাণিজ্য করে চলতে পারে। সেই ব্যবস্থা নিয়ে ঘরে ফেরা কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করলাম। আমরা গৃহায়ন তহবিল করলাম। এই গৃহায়ন তহবিল থেকে এনজিওদের হাতে টাকা দিলাম যে তারা যেন আমাদের গৃহহীন মানুষদের ঘর করে দেয়। এনজিওরা ২৮ হাজার পরিবারকে এই ঘর করে দিয়েছিল। প্রায় ২০ হাজারের মতো বস্তিবাসী নিজ গ্রামে ফিরে গিয়েছিল এবং ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১১ হাজার ভবন তৈরি করলাম ৪ হাজার চালু করে দিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি খালেদা জিয়া এসে এই কাজগুলো প্রায় বন্ধ করে দিল। সত্যি কথা বলতে ২০০১-২০০৮ আমাদের জন্য সত্যি একটা অন্ধকার যুগ। জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস সে সময় সৃষ্টি হলো যার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা হল। বন্দি হয়ে গেলাম আমি। তারপরেও আমি আশা ছাড়িনি যে আল্লাহ একদিন সময় দেবেন এদেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারব।



সর্বশেষ খবর