আমিও আজ ঘরবন্দীঃ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:১৪ পিএম, জানুয়ারী ২১, ২০২১
  • শেয়ার করুন

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। কোভিড দুর্যোগে ভ্যাকসিন উপহার দেয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিতি থাকতে না পারার আক্ষেপ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমিও আজ ঘরবন্দী। আর এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। যদিও মন পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী হিসেবে নিজে গর্ব অনুভব করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার এবং স্বাধীনতা অর্জনের সূতিকাগার। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হতে পেরে আমি গর্বিত। আমাদের পরিবারের সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় আজিমপুর গার্লস স্কুল পড়ার সময় থেকে। ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন শুরু হলে স্কুলের দেয়াল টপকে পালিয়ে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মিছিলে অংশ নিয়েছি। এরপর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রতিটি আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। কিন্তু তার আগেও ৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনে প্রথম মিছিল বের হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭০, ৭১ সব আন্দোলনের শুরু এই প্রতিষ্ঠান থেকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হয়। অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নষ্ট করা হয়েছে শিক্ষার পরিবেশ। এসময় মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনাও ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও এর প্রতিবাদ শুরু হয় এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ভোটারবিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন একটি বড় ভূমিকা রাখে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেখানকার শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনে বলে জানান তিনি। শিক্ষার মান উন্নয়নেও বতমান সরকার কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সেভাবে শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। দেশের সব কিছুতেই অগ্রণী ভূমিকা রাখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতেও এ ধরনের ভূমিকা রাখবে সে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে দক্ষ জনসম্পদ গড়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা রাখবে। যাকে অনুসরণ করবে সারা দেশ। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন সরকারপ্রধান।



সর্বশেষ খবর